ielts পরীক্ষার প্রশ্ন দেখে অজ্ঞান হয়ে ১১ মিনিট কেটে যায়
ফারিদ ইংরেজিতে is very good, কারন ছোটবেলা থেকেই ক্লাসে first position gain করা ফারিদ এতটাই ভাল ইংরেজি পারতো যে, পরিচিতজন তাকে ফরিদ না ডেকে ফারিদ ডাকতো। Farid নামের ইংলিশ প্রনান্সিয়েশন বা উচ্চারন ফারিদ হবার কারনেই ফরিদকে কেউ তার নাম জিজ্ঞেস করলে সে বলতো ফারিদ।
ফারিদ ইংরেজি উচ্চারনেও ছিল বেশ ভাল। আসলেই সে বেশ ভাল ইংলিশ জানতো এবং ইংলিশ সাব্জেক্টে সে ৯০ এর ঘরে মার্ক পেত সবসময়। সে এতটাই ভাল ছিল যে, ইংলিশ সাবজেক্ট না পড়লেই সে পরীক্ষার টপ মার্ক Gainer থাকতো।
যদিও ফারিদ ক্লাশের ফার্স্ট বয় ছিলনা কিন্ত যে ছেলে ফার্স্ট হতো সে কখনো ইংরেজিতে ফারিদের চেয়ে বেশি মার্ক পেতোনা কখনোই। তবে ফারিদ ক্লাসের সেকেন্ড বা থার্ড পজিশনে থাকতো Most of the time.
এইস এস সি পাশ করার পর, ফারিদের ইংলিশে দক্ষতা দেখে তার টিচার তাকে suggest করলো IELTS পরীক্ষা দেয়ার জন্য। ফারিদ asked his teacher, sir what is ielts?
টিচার রিপ্লাই দিয়েছিল, my dear farid, ielts is the highest পরীক্ষা by which তুমি পেতে পারো এমন একটি আন্তর্জাতিক মানের সার্টিফিকেট যেখানে লেখা থাকবে তুমি ইংলিশে কতখানি এক্সপার্ট। টিচার আরো বলেছিলেন, তুমি যদি হাইয়েস্ট মার্ক গেইন করতে পারো এই ielts এ, তাহলে তোমার আর কোন চাকরি বাকরির দরকার পড়বেনা, কারন হাইয়েস্ট মার্ক গেইন করতে পারলে প্রতি মাসে তুমি আরামসে লাখ টাকা আয় করতে পারবে। বিভিন্ন ielts কোচিং সেন্টার তোমাকে লাখ টাকার বেতনে জাস্ট লুফে নিবে।
টিচার আরো বলেছিলেন, ফারিদ তুমি যদি এই এইস এস সি এর পর আর পড়াশোনা নাও কর তবুও তোমাকে এই জবের জন্য লুফে নিবে সবাই যদি তোমার আই এল টি এস মার্ক হাইয়েস্ট থাকে।
এবার ফারিদের প্রশ্ন, স্যার আমি এই ielts পরীক্ষাটা দিতে চাই, এই বছর কি আর হবে এই পরীক্ষা?
টিচার বললেন, এই পরীক্ষা প্রতি মাসেই হয় ২/৩ বার করে। সো, তুমি যখন চাও তখনি রেজিস্ট্রেশন করে পরীক্ষায় বসতে পারো।
ফারিদ খুশি হয়ে গেল খুব, এবং টিচার কে বললো, স্যর আমি তাহলে এই মাসেই দিতে চাই ielts.
স্যার বললেন, এত তাড়াহুড়া করার কিছু নেই। তুমি কিছুদিন ielts এর পড়াশোনা করে তারপর পরীক্ষা দাও, that will be very good for you, I guess.
ফারিদ টিচারের এই কথা শুনে বলল, স্যার কোন ব্যাপার না, ইংরেজি পরীক্ষাও একটা পরীক্ষা তার জন্য আবার প্রিপারেশন নেয়ার কোন দরকারই নেই। আপনি আমাকে প্রসিডিউর টা বলে দেন।
অতঃপর ফারিদ তার স্যারের কাছ থেকে ielts পরীক্ষায় বসার সিস্টেম শিখে নিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে ফেললো পরের দিনই। এবং তার পরীক্ষার ডেট পরলো কয়েকদিন পরেই।
বাই দিস টাইম, ফারিদ তার টিচারের কাছ থেকে জেনেছিল যে, মোটমাট ৪ টি ধাপে পরীক্ষা সম্পন্য হবে। ১ম ধাপে লিসেনিং, ২য় ধাপে রিডিং, ৩য় ধাপে রাইটিং এবং সবশেষ ধাপ স্পিকিং।
রিডিং সম্পর্কে স্যার বলেছিলেন, প্যসেজ থাকবে কয়েকটা এবং সেগুলো পড়ে প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে দেখে দেখেই। ফারিদ ভেবেছিল, এটা আবার কোন ব্যাপার নাকি। কত হাজার হাজার প্যাসেজ পড়ে কত লাখ লাখ উত্তর দিয়েছে তার কোন কুল কিনারা নেই, সো, রিডিং নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। আর রাইটিং তো তার কাছে পান্তাভাত। আবার স্পিকিং, ফারিদের ধারনা ছিল সে এত ভাল স্পিকিং জানে যে, এটা নিয়ে প্র্যাকটিস করার কথা সে কল্পনাও করলে লজ্জাবোধ করে।
শুধুমাত্র লিসেনিং সম্পর্কে স্যার একটা সম্যক ধারনা দিয়েছিলেন যে, কানে হেডফোন লাগিয়ে দিয়ে ইংরেজি কথা হবে এবং সেই কথার উপর ভিত্তি করে কিছু প্রশ্নের উত্তর খাতায় লিখতে হবে। স্যার ফারিদকে কিছু লিসেনিং প্র্যাকটিস করতে বলেছিলেন কিন্তু ফারিদ তাতে কর্ণপাত করেনি।
যাইহোক, অবশেষে জুলাই মাসের ৩ তারিখে তার পরীক্ষার ডেট পড়ায় সে, সকাল সকাল চলে গেল পরীক্ষা কেন্দ্রে।
পরীক্ষার হলে গিয়ে ফারিদঃ
১। লিসেনিং পরীক্ষার ফারিদের কান ১০ মিনিটের মাথায় খুব ব্যাথায় টনটন করতে শুরু করে দিল ফলে ফারিদ লিসেনিং খুব খারাপ করলো।
২। লিসেনিং শেষ করে রিডিং এর প্রশ্নে এক একটা প্যাসেজের সাইজ দেখে ফারিদের কান আগুনের মত গরম হয়ে যেতে শুরু করলো। আর রিডিং প্যাসেজের ইংরেজির প্যাটার্ন দেখে ফারিদ বুঝতে পারলো, ক্লাশে ২য় হওয়ার ইংলিশ প্যাটার্ন আর ielts এর ইংলিশ প্যাটার্ন আকাশ পাতাল তফাত। এত বড় অসামঞ্জস্যতা ফারিদের ব্রেইন নিতে পারলোনা। এবং সে ৭ মিনিটের মাথায় অজ্ঞান হয়ে গেল। প্রায় ১১ মিনিট পর জ্ঞান ফেরার পর ফারিদ বাসায় চলে এসেছিল।